কেবল মাত্র রুটিন চেকআপ ও রুটিন চিকিৎসাই পারে হৃদরোগে মৃত্যু হার কমাতে
বর্তমানে বাংলাদেশে হৃদরোগে মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি। এই মৃত্যুর হার কমাতে প্রয়োজন সচেতনতা। হৃদরোগ একটি ক্রনিক ডিজিজ হওয়ায় সচেতনতার প্রথম ধাপে প্রয়োজন প্রতিরোধ মূলক ব্যবস্থা যাতে হৃদরোগ না হয়; এর মধ্যে রয়েছে নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম বা ৪০ মিনিট হাটা, সুষম খাদ্যাভ্যাস, ধূমপান পরিহার করা, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, ও ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখা। এরপর বয়স ৪০ হলে নিয়মিত কার্ডিয়াক চেকআপ করা সচেতনতারই অংশ কেননা হার্ট অ্যাটাকের পূর্বে রুটিন চিকিৎসা গ্রহণ করলে ঝুঁকি কম এবং চিকিৎসায় ১০০ ভাগ সফলতা পাওয়া যায়। এক কথায় নিরাপদ হৃদরোগ চিকিৎসায় রুটিন এনজিওগ্রাম, বাইপাস সার্জারি, ও স্টেন্টিং-এর কোন বিকল্প নাই। রুটিন চেকআপ অবহেলা করায় অনেক রোগী জানতে পারেনা তার হৃদরোগ হয়েছে এবং পরবর্তীতে হটাৎ হার্ট অ্যাটাক হয়। হার্ট অ্যাটাক হলে চিকিৎসার সফলতার নিশ্চয়তা দেয়া কঠিন কারণ এই অবস্থায় চিকিৎসককে অনেক জটিলতার মোকাবেলা করতে হয়। এ কারণে সবাইকে সচেতন হয়ে রুটিন চেকআপ ও রুটিন চিকিৎসায় আসতে হবে যাতে হৃদরোগ জনিত মৃত্যু কমানো যায়।